কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে কেন চ্যানেল সাসপেন্ড হয় এবং পরবর্তীতে ফেরত কেনো পাওয়া যায়না?

ইউটিউবে শুধুমাত্র দুটি টার্ম আছে যে দু’টির কারণে কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চ্যানেল সাসপেন্ড হতে পারে। এর একটি সর্বজন বিদিত আর তা হলো স্প্যাম এবং অন্যটি হচ্ছে শিশুদের জন্য বিপদজনক কোন কিছু। এই দুটির জন্য কোন প্রকার ছাড় দেয়া হয়না। এবং আপীল বেশিরভাগ সময়ই রিজেক্ট হয়। আজ আমরা জানবো স্প্যাম কি এবং কত প্রকারের হতে পারে।
ভিডিও, চ্যানেল এবং কমেন্টের স্প্যাম:
-----
আপনি যদি বার বারই একই ধরণের ভিডিও, কমেন্ট বা ইনবক্স ম্যাসেজ উদ্দেশ্য বিহীন, অপ্রয়োজনীয় হওয়া সত্বেও পোষ্ট করতে থাকেন তাহলে ইউটিউব এটিকে স্প্যাম হিসেবে ধরে নেবে। যদি প্রমাণিত হয় যে আপনি পোষ্টের মাধ্যমে ভিউয়ারসদের আপনার চ্যানেলে কিংবা কোন সাইটে নেয়ার চেষ্টা করছেন তাহলে তা স্প্যাম। এমনকি প্রায় একই রকম ভিডিও যদি আপনার নিজের একই চ্যানেলে বারবার রিআপলোড করে থাকেন তাহলেও তা স্প্যামিংয়ের আওতায় পড়বে। যদি আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে অন্য কোন চ্যানেলের লিংক পোষ্ট করেন তাহলেও তা স্প্যামিং হিসেবে ধরা হবে। এটি ট্যাগ, ডেসক্রিপশ বা ভিডিও কনটেন্ট যে কোন মাধ্যমেই হতে পারে। তবে একটি বিষয় ইউটিউবে এখানে ক্লিয়ার করেনি, আর তা হলো এই আওতা কি শুধুমাত্র ইউটিউবেই সীমাবদ্ধ নাকি অন্য মিডিয়াগুলোতেও কাজ করবে কিনা। তাই যে কোন ক্ষেত্রেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে পোষ্ট করার আগে একটু ভেবে নেবেন।
আর্টিফিশিয়াল ট্রাফিক স্প্যাম:
-----
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি। সাব ফর সাব, ভিউ ফর ভিউ এদের জন্য এই অংশটি গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি এমন কোন কিছু করেন যার দ্বারা প্রমাণিত হবে যে আপনি অযৌক্তিভাবে আপনার চ্যানেলের ভিউ বা সাবস্ক্রাইবার বাড়াচ্ছেন তাহলে এটি আর্টিফিশিয়াল ট্রাফিক স্প্যামের আওতায় পড়বে। যারা সাফসা বা ভিফভি করেন তাদের চ্যানেলে কোন একটা সময়ে হঠাৎ করেই নির্দিষ্ট কিছু ভিডিওতে বা চ্যানেলের কোন প্রকার মৌলিক পরিবর্তন ছাড়াই সাব বা ভিউ বেড়ে যায়। ইউটিউব বিষয়টি খুব সহজেই ধরতে পারে কারণ কোন ভিডিওর ভিউ বা কোন চ্যানেলের সাব কেন বাড়বে আর কিভাবে বাড়বে তা ইউটিউব বেশ ভালো করেই জানে। কিন্তু সাফসা বা ভিফভি করলে ইউটিউবের সেই এলগরিদমের ব্যক্তিক্রম ঘটে বিধায় ধরা পড়ে যায়। ফলাফল হিসেবে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই চ্যানেল সাসপেন্ড। ইউটিউব স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছে, ”যদি আপনি আপনার চ্যানেলের উন্নতির জন্য কাউকে কাজ করতে বলেন এবং সে যদি এই স্প্যামিং করে তাহলে আপনার চ্যানেলের ভাগ্যকে অন্যের হাতে ছেড়ে দেয়ার শামিল। আপনি হয়তো তাদের বড় অংকের টাকা দিতে পারেন কিন্তু ফলাফল আপনার চ্যানেল টেক ডাউন করা হবে।” এই লাইনেই সাফসা এবং ভিফভি সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়া আছে। কামরুল ইসলাম রুবেল। মাঝে মাঝে কিছু পোষ্ট বা পরিকল্পনা দেখি যে একটি গ্রুপ বানিয়ে তারা মিলে একজন আরেকজনের ভিডিও ভিউ করতে চায়, তাদের জন্য এই কথাটি আরো বেশী প্রযোজ্য। কিছু প্রতিষ্ঠান বা সাইট আছে আছে তারা টাকার বিনিময়ে ভিউ বাড়াবে বলে থাকে, তারা আপাতদৃষ্টিতে স্প্যামিং না করলেও প্লেয়ার এমবেড করে ভিউ বাড়ায়, যেটি ইউটিউবের টার্মস এন্ড কন্ডিশন ব্রেক করে, সাথে অটোম্যাটিক স্প্যামিংতো আছেই তাই কোন প্রকার আর্টিফিশিয়াল কিছু করা থেকে বিরত থাকুন। এই কাজগুলো করা হলে সাথে সাথে চ্যানেল টেকডাউন করা হবে তা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি যা আরো ভয়ংকর একটি তথ্য। অর্থাৎ হতে পারে আপনি একটি চ্যানেলের শুরুর দিকে কিছু আর্টিফিশিয়াল পদ্ধতিতে ভিউ সাব আনলেন, আপনার চ্যানেল দিনকে দিন বড় হলো। রেকর্ড কিন্তু থেকেই যাবে। হতে পারে চ্যানেলটি অনেক বড় হওয়ার পর ইউটিউব এটিকে রিভিউ করবে। তখন মাফ পাবেন না এবং মনে হবে কোন কারণ ছাড়াই ইউটিউব আপনার চ্যানেল সাসপেন্ড করেছে।
মিসলিডিং মেটা ডাটা স্প্যাম:
-----
মেটা ডাটা মুলত কোন একটি ভিডিওতে বাড়তি কিছু তথ্য যোগ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন টাইটেল, ডেসক্রিপশন, ট্যাগস, এনোটেশন এবং থাম্বনেইল। যদি এসবের কোনটি অপব্যবহারের কারণে ইউটিউবের সার্চ এলগরিদমে সমস্যা হয় তাহলে আপনার চ্যানেলটি সাসপেন্ড হতে পারে। একটা উদাহরণ দেই যে কিভাবে ইনভ্যালিড মেটা ডাটা ধরা পড়তে পারে। ধরুন আপনার ভিডিওতে আপনি এমন একটি ট্যাগ ব্যবহার করলেন যার সাথে আপনার ভিডিও সামঞ্জস্য নেই, ফলাফল হিসেবে আপনার ভিডিওটি অনেকের কাছে সাজেষ্টেড হিসেবে ইউটিউব কর্তৃক পাঠানো হলেও তারা দেখবেনা, অথবা ঢুকেই বের হয়ে যাবে বা বাউন্স ব্যাক করবে। এই তথ্যটি ইউটিউবের কাছে থাকবে। ইউটিউব আপনার ভিডিওকে আপনার দেয়া ট্যাগ অনুযায়ী সামনে এগিয়ে দিলেও ভি্উয়ারসরা যদি তা প্রত্যাখ্যান করে তবেই আপনার ইনভ্যালিড ট্যাগ ধরা পড়ে যাবে। ফলাফলতো আপনি নিজেই জানেন। ভিডিওটি রিমুভ হবে এবং ষ্ট্রাইক পাবেন। তাহলে কিভাবে ট্যাগ দেবো। উত্তর হচ্ছে, আপনার ভিডিওতে ঠিক যে বিষয়ে কনটেন্ট আছে তার বাইরে আর কোন ট্যাগ দেয়া যাবেনা। কতগুলো ট্যাগ ব্যবহার করবেন তার কোন নির্দিষ্টতা নেই। বেশী ট্যাগ হলেই যে এসইও ভালো হবে তা নয়। বরং প্রয়োজনীয় ট্যাগ হলেই ইউটিউব শুধুমাত্র তাদের কাছে পাঠাবে যাদের আপনার ভিডিওটি পছন্দ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ দিয়ে অপ্রয়োজনীয় জায়গায় পাঠালেই তা ইনভ্যালিড ট্যাগিং। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইউটিউব পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে, তা হলো কোনক্রমেই ডেসক্রিপশনে ট্যাগ আকারে কোন কিছু ব্যবহার করা যাবেনা। এটা সরাসরি স্প্যাম হিসেবে ধরে নেবে এবং নোটিশ ছাড়া সাসপেন্ড।
উপরের ঘটনার জন্য দোষী হলে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই আপনার চ্যানেল সাসপেন্ড হতে পারে এবং ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তারপরো আপনি যদি মনে করে ইউটিউবের সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো তাহলে আপীল করতে পারবেন। স্প্যামের মধ্যকারই আরো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ টার্ম আছে আলোচনা করার মতো ছিলো যেমন: ভুয়া থাম্বনেইল, স্ক্যাম ও ব্ল্যাকমেইলিং নিয়ে কিন্তু পর্বটি অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে বিধায় আজ এ পর্যন্তই রইলো। এর বাইরে শিশুদের জন্য বিপদজনক বিষয়ের কারণে সাসপেন্ড হওয়া নিয়ে অন্য কোন সময় আলোচনা করবো।
নোট: গতকাল অন্য একটি গ্রুপে আমার একটি লেখা জনৈক ব্যক্তি পাবলিশ করে। আমি ক্রেডিটের কথা বলতেই উল্টো আমাকে চোর বলে শাসিয়ে গেলো বাজে কমেন্ট করে। আমি প্রতিউত্তর দিতে বাধ্য হলাম। দয়া করে কেউ কপি করলে কোথা থেকে সংগ্রহ করেছেন, বা মুল লেখকের লিংক উদ্বৃত করা নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। কারণ একটি আর্টিকেলও একটি ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি বলে আর্ন্তজাতিক আইনে স্বীকৃত। যা পূর্বানুমতি ছাড়া পুন:ব্যবহার বে-আইনীও বটে।
ভালো থাকুন সবাই। হ্যাপি ইউটিউবিং।

Post a Comment

আপনার মন্তব্য লিখুন

Previous Post Next Post

Recent Gedgets


 

Recents